শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনে আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে বিএনপি নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানক্লাব ‘নেবুলাস’-এর যাত্রা শুরু প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গার্মেন্টস ব্যবসায়িদের নিঃস্ব করে কোটি টাকা প্রতারণা করে লাপাত্তা কৃষক লীগ নেতা হান্নান শেখ! টাকার বিনিময়ে বিদ্যুতের তার খাম্বা মিটার এনে দেন ইলেকট্রিশিয়ান জুলিয়ান! নবান্ন উৎসব ঘিরে জমে উঠেছে কালাইয়ে মাছের মেলা কটিয়াদীতে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের সম্বর্ধনা জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত না-হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকতে হবে: রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু
ফাস্টফুড শিশুদের জন্য ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ফাস্টফুড শিশুদের জন্য ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমান সময়ে ফাস্টফুড খাওয়া ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে, যা শিশুদের জন্য ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স অন মেটার্নাল অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট নিউট্রিশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

জাহিদ মালেক বলেন, আমরা বাচ্চাদের যেসব ফাস্টফুড খাওয়াই, সেগুলোর প্রভাবে বাচ্চারা মোটা হয়ে যাচ্ছে, ওজন বেড়ে যাচ্ছে। মোটা হয়ে যাওয়ার কারণে ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিস হয়, শিশুরা যেহেতু আমাদের ভবিষ্যৎ, তাদের ফাস্টফুডের বিপরীতে ব্যালেন্স ফুড দেওয়া দরকার। তাদের ব্যালেন্স ফুডে অভ্যস্ত করা দরকার। সবকিছু মিলিয়ে একটা বড় সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, একটা সময় আমাদের ৪০-৫০ শতাংশের মতো ম্যালনিউট্রিশন ছিল, যা বর্তমানে ২০ শতাংশে কমে এসেছে। চিকিৎসার পাশাপাশি খাদ্যটাও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সব ধরনের খাবারই খেতে হবে, বিশেষ করে খাবারটা পুষ্টিকর হতে হবে। নিউট্রিশনের অভাব হলে স্টান্টিং (খর্বকায়) বেড়ে যায়, যা আমাদের দেশে এখনও ২০ শতাংশের বেশি। শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা কমে যায়। পাশাপাশি ইমিউনিটির ওপর প্রভাব পড়ে। খাদ্যটা যদি সুষম না হয়, তাহলে কিন্তু অসুখ-বিসুখ বাড়ে। যার ফলে আমাদের হেলথ সেক্টরে প্রভাব পড়ে।

তিনি বলেন, আমাদের মাতৃ-শিশু মৃত্যুর হার কমে এসেছে। একটা সময়ে গড়ে ৬০০ জনের মতো মৃত্যু হতো, বর্তমানে তা ১৬০ জনে চলে এসেছে। দেশের স্বাস্থ্যসেবা ভালো হয়েছে বলেই মৃত্যু কমে এসেছে। তবে আমাদের আরও ভালো করার সুযোগ আছে। এসডিজি অর্জন করতে হলে মাতৃমৃত্যু ৭০ জনে নামিয়ে আনতে হবে। বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের দেশে ফল, শাকসবজি, মাছসহ সব ধরনের খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে। সুতরাং সুষম খাবারের বিষয়ে সবাইকে গুরুত্ব দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম প্রমুখ।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com